1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন

সম্পাদকীয় – বেপরোয়া মোটরসাইকেল, বেড়েই চলছে দুর্ঘটনা

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩
  • ২৬ Times

সড়ক দুর্ঘটনা এমনিতেই আমাদের দেশে একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে বেপরোয়া মোটরবাইক বা মোটরসাইকেল। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। আর প্রাণহানির বড় কারণ বেপরোয়া মোটরসাইকেল। সড়কে প্রায় ৩০ ভাগ দুর্ঘটনাই মোটরসাইকেল আরোহীর ঘন ঘন লেন পরিবর্তন, নিয়ম না জানা বা জানলে না মানা, যানজট এড়িয়ে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছার কারণে ঘটছে। এখন যত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় মোটরসাইকেল আরোহীদের। গত তিন বছরে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ। এক জরিপে দেখা যায় মোবাইল ফোন অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে রাজধানীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। কেউ আসছে গ্রাম থেকে, কেউ বা আবার করোনায় চাকরি হারিয়ে, আবার অনেকে ব্যবসায় লোকসান দিয়ে আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছে এই পেশা। এই সুযোগে অদক্ষ ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা চালকরা বেপরোয়াভাবে সড়কে চলছে ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। সারা দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের ২৫ শতাংশই ঢাকায়। ২০১০ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে নিবন্ধনকৃত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৮৭৯টি। বর্তমানে ঢাকায় নিবন্ধনকৃত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৯ লাখ ৬১ হাজার ২২১টি। প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হচ্ছে গড়ে ৪১৫টি। এছাড়াও সারা দেশে রয়েছে ৩১ লাখ মোটরসাইকেল। তার ভিতর লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ১৮ লাখ চালকের। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি (৩৪ দশমিক ৫০ শতাংশ) ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে। ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ মৃত্যু ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে, ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ঘটেছে গ্রামীণ সড়কে এবং ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ ঘটেছে শহরের সড়কে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ ঘটছে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ ও বাসের ধাক্কা, চাপা ও মুখোমুখি সংঘর্ষে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এবং হতাহতের ঘটনা বৃদ্ধির বহুবিধ কারণ রয়েছে। অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালক বয়সে কিশোর কিংবা তরুণ কেবল এটাই সত্য নয়, তাদের মধ্যে জ্ঞানের অভাব এবং ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতাও রয়েছে। তরুণরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায় ফলে নিজেরা যেমন দুর্ঘটনায় পতিত হয় তেমনি অন্যরাও দুর্ঘটনার শিকার হয়। আবার যথাযথ হেলমেট না পরা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আরো একটি কারণ। এই প্রাণহানি কমানোর জন্য বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সড়কে কঠোর নিয়মকানুন এবং তা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে সীমিত আকারে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। মোটরসাইকেলের জন্য পৃথক লেনের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের হেলমেট থাকে, তারা কিছুটা হলেও কম বিপদগ্রস্ত হন তাই হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। সাবধান হতে হবে চালক-আরোহীদের, আরোহীদের সচেতনতা ও মানসিকতা না বদলালে এই ব্যাধি দূর করা সম্ভব হবেনা।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It