সরকারি হাসপাতালে বসেই প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারছেন চিকিৎসকরা। নিজ চেম্বারে বসেই রোগীর কাছ থেকে ফি নিতে পারবেন। তবে সপ্তাহে মাত্র দুই দিন প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা।
এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুই দিন করে কাজ করবেন। ৩১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস। এ উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। দেশে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে।
তবে এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা গ্রহণ যথেষ্ট ব্যয়বহুল। বস্তুত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের অসুখে-বিসুখে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোই ভরসা। সাধারণ রোগীরা এর সুফল ভোগ করবেন বলে আশা করছি।
প্রাথমিকভাবে ১০ জেলা হাসপাতাল এবং ২০ উপজেলা হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হবে। চিকিৎসকরা বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রাইভেট রোগী দেখতে পারবেন। এজন্য অধ্যাপক পদধারী চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নিতে পারবেন রোগী থেকে। সর্বনিম্ন হিসেবে এমবিবিএস, বিডিএস (ডেন্টিস্ট) ডাক্তার নিতে পারবেন ২০০ টাকা।
মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম একটি হলো স্বাস্থ্যসেবা। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার বড় অংশই গ্রামে বসবাস করে। গ্রামের কৃষক ও হতদরিদ্র মানুষ তাদের চিকিৎসার জন্য নির্ভর করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর ওপর।