বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমজমাট হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী জোড়গাছা পশুর হাট।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমজমাট হয়ে উঠেছে এ হাট। দীর্ঘ ৫ বছর বন্ধ থাকার পর জমজমাট হয়ে উঠেছে গরু ছাগলের হাট।
এ হাটে গরু ছাগল ছাড়াও ধান পাট হাঁস মুরগী দুধ কাচা বাজার মাছ মাংস সহ হরেক রকমের পন্য সামগ্রী পাওয়া যায়। সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শুক্রবার এই দুই দিন হাট বসে।
কুরবানির গরু ছাগল ক্রয় করে যাতে কেউ প্রতারিত না হয়, তাই গরু ছাগলের স্বাস্থ্য চেক করার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে পশু চিকিৎসক রাখা হয়েছে।
২০ জুন মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় ক্রেতা বিক্রেতা ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা বিক্রেতার ভির জমেছে এ হাটে।
কয়েকজন গরু ছাগল ক্রেতা বিক্রেতার সাথে হাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ হাট বন্ধ থাকায় আমরা বিভিন্ন হাটে গরু ছাগল ক্রয় বিক্রয় করার জন্য যেতাম।
ঐতিহ্যবাহী জোড়গাছা হাট চালু হওয়ায় আমরা এ হাটে গরু ছাগল সহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করার জন্য এসেছি।
তাছাড়াও অন্যান্য হাটের তুলনায় এই হাটে টোলের পরিমান অতি সামান্য। হাটের ইজারাদার মিলন হোসেন জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে ইজারা হলেও এ হাট বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকে।
আমি এ বছরের জন্য হাট ইজারা নিয়েছি। হাটের টোল অতি সীমিত রেখেছি। এছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রেখেছি।
আমি আজকে অনেক খুশি হয়েছি আমাদের এই হাট গরু ছাগল দিয়ে কানায় কানায় ভোরে উঠেছে। আগামীতে আরও বেশি হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, হাটে অনেক গরু ছাগল জমায়েত হয়, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এবং গাভি ও বকনা গরু কিনে যাতে কেউ প্রতারিত না হয় তাই স্বাস্থ্য ও গাব চেক দেওয়ার জন্য আমাদের দপ্তরের মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে।