1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

সম্পাদকীয় – শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৩০ Times

ডেঙ্গুর ভীতি নিয়েই চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা জেনেও ক্লাসে আসছে শিক্ষার্থীরা। যেখানে ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এবার ডেঙ্গুতে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে।

এর কারণ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে যা ডেঙ্গুর প্রথাগত উপসর্গ নয়। ফলে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তার ডেঙ্গু হয়েছে।

আর সেটি বুঝতে না পারার কারণে হাসপাতালে যেতে দেরি করছেন অনেকে। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে তারা মারা যাচ্ছেন।

রোগটি ছোঁয়াচে নয়, তবু আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকরা, বিশেষ করে শিশুদের স্কুলে পাঠাতে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছেন। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কমেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে উপস্থিতির হারের তুলনায় নিম্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বেশি কমেছে। আর এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু-কিশোর। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং থেমে থেমে বৃষ্টি এডিসের বংশ বাড়াতে সহায়ক করে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য উর্বর স্থান। কারণ বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টয়লেট-বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবনের আঙিনা ও আশপাশে পানি জমে থাকে। শ্রেণিকক্ষে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা হয় না। আর কক্ষগুলো কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন। যেখানে মশা লুকিয়ে থাকতে পারে।

সুতরাং আমাদের সব সময়ই সচেতন থাকতে হবে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি কিছু নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ পাঁচদফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি এই নির্দেশনায় এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ঝোপঝাড়, ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে ও ফুলের টব নিয়মিত পরিষ্কার করাসহ যাতে পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শিক্ষকদের ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে বলা হয়েছে প্রতিদিন।

একসময় ধারণা করা হতো এডিস মশা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। এখন দেখা যায় অপরিষ্কার ও নোনাপানিতেও পাড়ছে ডিম। আগে এডিস মশা শুধু দিনের বেলা কামড়াত, এখন সব সময় কামড়ায়। বর্তমানে ডেঙ্গু চিকিৎসায় ডাক্তাররা যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং দক্ষ। চিকিৎসকরা জানান, এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে। তবে এডিস এলবপিকটাস নামক মশার কামড়েও ছড়াতে পারে ডেঙ্গু। তাই ভয় না পেয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে ডেঙ্গুর মোকাবিলা করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী ব্লিচিং পাউডার ছিটানো এবং সবশেষে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It