1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

সম্পাদকীয় – দেশে বাড়ছে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬ Times

দেশে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। ঝড়ছে তাজা প্রাণ। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা এই মৃত্যুর মিছিল।

ফায়ার সার্ভিসের  হিসাব মতে, ২০১৯ সালে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ৮১৮টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন। আহত হয়েছেন ৬৯ জন। আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১২ কোটি টাকার ওপরে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে এ দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫৭টিতে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহত হয়েছেন ১০৭ জন। আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা।

২০২১ সালে দেশে ৮৯৪টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে দুর্ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে সারা দেশে মোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ২৪ হাজার ১০২টি। এর মধ্যে বিস্ফোরণ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৯৪টি, গ্যাস সরবরাহ লাইনে আগুন লেগেছে ৭৯৫টি। এলপিজি বা গ্যাস সিলিন্ডার সাধারণত বিস্ফোরিত হয় না। মূলত সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে যথাযথভাবে পরিবহণ, মজুত ও ব্যবহার না করার কারণে। এর পাশাপাশি সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহারের জন্য যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো নিম্নমানের হলে তা থেকে সৃষ্ট লিকেজের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এই বিস্ফোরণ গুলোর বেশীরভাগই দেখা যায় সিলিন্ডারের হোস পাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস ভালভের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের ত্রুটির কারণে গ্যাস লিক হয়। এরপর ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনা। এ ছাড়া অনেকে চুলার পাশে রাখায় অতিরিক্ত তাপে সিলিন্ডার গরম হয়েও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সাধারণত দেখা যায় এসব সিলিন্ডার যে সমস্ত ট্রান্সপোর্টে সরবরাহ করা হয়, অনেক সময় সরবরাহকারীরা সিলিন্ডার গুলো অবহেলা নিয়ে নাড়াচাড়া করে, ছুড়ে ফেলে দেয়, যার কারণে সিলিন্ডার ছিদ্র বা অকেজো হয়ে পড়ে এবং সিলিন্ডারের ভাল্ব নষ্ট হয়ে যায়।

আবার মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাসের সিলিন্ডার বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় হঠাৎ করে ঘটছে এ বিস্ফোরণের ঘটনা। এক প্রতিবেদনে দেখা যায় দেশে বর্তমানে ৬০ লাখের বেশি গ্রাহক এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করে। এর বড় অংশই গ্রামাঞ্চলে বাস করে। দেশের বাজারে সরকারি-বেসরকারি ৩০টি কোম্পানির অন্তত ২ কোটি সিলিন্ডার রয়েছে।

প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডার ৫ বছর পরপর রিটেস্টের বিধান রয়েছে। তবে মাত্র ৫০ শতাংশ সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষার আওতায় রয়েছে। বাকিগুলোর পুনঃপরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায় না। সরকারের উচিত খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে সিলিন্ডার বাজারে সরবরাহের আগে তদারকি করতে বাধ্য করতে হবে। বিস্ফোরণ ঠেকাতে অবশ্যই সিলিন্ডার ব্যবহারকারীকে সচেতন হতে হবে। সিলিন্ডার ও এর সঙ্গে যুক্ত ভালভের মেয়াদ এবং সেখানে কোনো ছিদ্র আছে কি না। বাসা-বাড়িতে নিরাপদ জায়গায় সিলিন্ডার রাখাসহ রান্নার আগে-পরে রেগুলেটর ভালোভাবে পরীক্ষা করে চুলা জ্বালাতে হবে।

রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে বিস্ফোরণ দূর করতে মানসম্পন্ন সিলিন্ডার ব্যবহারের করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার কোন অবস্থাতেই ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It