1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

সম্পাদকীয় – লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম, নেপথ্যে কারা

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৭ Times

অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে আলুর দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশের আলু উঠতে শুরু করে। আলুর একটা অংশ কৃষক পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারে আসে, কৃষকের কাছে কিছু মজুত থাকে এবং বাকিটা থাকে হিমাগারে।

দেশের ৩৬৫টি হিমাগারে এবছর ২৪ লাখ ৯২ হাজার টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। কৃষকের হাতে আলু শেষ হওয়ার পর জুন থেকে হিমাগারের আলু বাজারে সরবরাহ আসতে থাকে। কিন্তু এ সরবরাহ ঠিকভাবে হচ্ছে না। কৃত্রিমভাবে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আলুর দাম বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে হিমাগার মালিকরা চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত পরিমাণ আলু বাজারে ছাড়ছেন।

যারা আলু স্টক করেছেন তারা বাজারে চাহিদার তুলনায় কম আলু দিচ্ছেন। আবার প্রতি কেজি আলু কোল্ডস্টোরেজ থেকে মানভেদে ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি করছে। তারাই কেজিপ্রতি ১২ থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন। এ কারণেই বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জের হিমাগারগুলোতে এখনো বিপুল পরিমাণ আলুর মজুত রয়েছে।

এরপরও বাজারে বেড়েই চলেছে দাম। তবে এরইমধ্যে প্রান্তিক কৃষকদের আলু শেষ হয়ে যাওয়ায় মূলত বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ী বা ব্যাপারীদের হাতে। ফলে তারা লাভবান হলেও কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা গেছে,  এ বছর চাহিদার তুলনায় দেশে ২২ লাখ টন আলু বেশি উৎপাদন ও  মজুত রয়েছে।

সারাদেশে মোট আলু উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ১১ লাখ টন, যেখানে স্থানীয় চাহিদা ৯০ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ২২ লাখ টন আলুর বেশির মজুত রয়েছে। চাহিদার বেশি আলু রপ্তানির চেষ্টা করছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু দ্রবমূল্য ঊর্ধ্বগতির মুখে দেশে গড়ে উঠছে পণ্যভিত্তিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এরই অংশ হিসেবে আলুর দাম বাড়াতে তৎপর অসাধু ব্যবসায়ীরা।

অধিদপ্তদরের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে হেক্টরপ্রতি আলু উৎপাদনে গড়ে খরচ হয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ৩০ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন বা ৩০ হাজার ৭৫০ কেজি। অর্থাৎ এবছর প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা। পরিবহন ও হিমাগারে সংরক্ষণ মিলিয়ে খরচ ১৬-১৭ টাকা। বর্তমানে সে আলু দ্বিগুণেরও বেশি দামে ভোক্তারা কিনছেন ৪০ টাকায়।

যেসব অসাধু ব্যবসায়ী আলুর বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে তাদের দ্রুত তদারকির মধ্যে নিয়ে আসা প্রয়োজন। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে হিমাগার থেকে চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত আলু খালাস করতে হবে। আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নিশ্চিত করতে হবে পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা।

ফেরি ও টোলপ্লাজায় আলু বহনকারী পরিবহনকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পারাপার নিশ্চিত করতে হবে। সঙ্গে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিমভাবে আলুর বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছেন তাদের বিভিন্ন তদারকি সংস্থা এবং পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It