1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

সম্পাদকীয় – শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৭ Times

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হতাশা ও আত্মহননের প্রবণতা বেশি। চলতি বছরের ৮ মাসেই আত্মহত্যা করেছেন ৫০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।

তবে তারা কেন বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যাকে, এর পিছনে কারণ কি? এর  উত্তর খুজতে গেলে সামনে আসে, শিক্ষাজীবন শেষ করার পর চাকরি না পাওয়া, জীবনের প্রতি হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, চরম দারিদ্র্য- এরকম নানা বিষয় ঘিরে তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।

এটি সত্য যে, ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি, স্ট্রেস, প্যানিক, ফোবিয়া, মনোযৌনসহ বেশ কিছু মানসিক সমস্যা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপ আত্মহত্যার হার বাড়ার অন্যতম কারণ। তবে এভাবে আত্মহত্যার প্রবণতাকে বাড়তে দেয়া যাবে না। তাই ‘‘আত্মহত্যা নিয়ন্ত্রণে বড় প্রকল্প হাতে নিতে হবে। কেননা- করোনার সময়ে দীর্ঘদিন ঘরে বসে থেকে অনেকের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন এসেছে রাগ বেড়েছে, মানসিকভাবে সহজেই ভেঙে পড়ার হারও বেড়েছে, এ ছাড়া পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যাও আগের চেয়ে বেড়েছে।

শিক্ষার্থীরা সবকিছু একসঙ্গে সামাল দিতে পারছে না বলেই তুলনামূলক আত্মহত্যার হার বাড়ছে। সেজন্য জন্মের পর থেকে জীবনধারনের দক্ষতা চর্চার বিষয় পাঠ্যক্রমে যুক্ত করা উচিত যোগব্যায়াম, মননশীলতার অনুশীলন, চাপ ব্যবস্থাপনা, রাগ ব্যবস্থাপনা, সহানুভূতি, নিজের যত্ন নেওয়ার মতো বিষয়গুলো থাকা উচিত। কারণ মানুষ হতাশ হলে খুব ছোট কারণেও নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারে না। তখন নিজেকে একা মনে করে এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

আত্মহত্যাটা এক ধরনের অপরাধ। আত্মহনন করলে পরিবার ও সমাজে একটি বিরূপ প্রভাব পড়ে। এতে সমাজে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই সামাজিক মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার যে প্রক্রিয়া সেখান থেকে বের হওয়া যাবে না। খেলাধুলা, সামাজিক সাংস্কৃতিক কাজে সম্পৃক্ত থাকা, সৃজনশীল কাজে যত বেশি যুক্ত হওয়া যায়, সেদিকে মনোযোগী হতে হবে এবং আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাবা-মাও সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে তেমন সচেতনতা নেই। এটি একটা বড় সমস্যা।

ফলে দৃঢ় করতে হবে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন। আমাদের সবাইকে অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বের হতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতে হবে। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি জীবনকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। তাহলেই হয়তো আত্মহত্যার প্রবণতা কমানো সম্ভব হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It