1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

জলঢাকায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মাইদুল হাসান, প্রতিবেদক
  • Time রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৯ Times

নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শনের জন্য জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল ৩রা সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে থানা মোড়স্থ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা অফিস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাউন্সিলর পৌরসভার বগুলাগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিতা আব্দুস সামাদ ( ৫২ ) মা কহিনুর বেগম ( ৪৫ ) আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী মমতা বেগম ( ২৭ ) তার ৩ সন্তান সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা। লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন,গত ২০১৫ সালে রুহুল আমিন কাউন্সিলর পৌরসভায় ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে আমাকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ২ লাখ টাকা গ্রহন করে এবং এই টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে কৌশলে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।

আমার চাকুরী না হলে টাকা ফেরত চাইতে গেলে রুহুল আমিন কাউন্সিলর আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। অন্যদিকে পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কথা ভেবে আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দিয়ে সেখানে অবস্থান করি। এমতবস্থায় ফাঁকা স্টাম্পে আমার স্বাক্ষরের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার অবর্তমানে পরিবারের লোকজনের কাছে উল্টো টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে স্টাম্প দিয়ে মামলা করবে বলে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিতে থাকে। আমি ঢাকায় থাকা অবস্থায় আমার পরিবারের লোকজন হুমকি ধামকি থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের প্ররোচনায় তাদের মীমাংসার প্রস্তাবে রাজি হয়।

আমার বাবা সহজ সরল হওয়ায় গত ৮ই অক্টোবর ১৬ইং তারিখ রাতে জলঢাকা পৌরসভা অফিসে বিচারের নামে কাউন্সিলর রুহুল আমিন,প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক,দলিল লেখক আবুল কালাম আজাদ,মুকুল চৌধুরী, ওয়াজেদসহ তার সহযোগীদের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে মিথ্যা মীমাংসা পত্র লিখে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বাবার টিপসহি নিয়ে আরো ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু আমার স্বাক্ষরকৃত স্টাম্প ফেরত দেয়নি। স্টাম্প ফেরত দিতে আবারো কালক্ষেপন করতে থাকে।

এমতাবস্থায় গত ২৭শে এপ্রিল ১৭ইং তারিখে রুহুল আমিন তার শ্যালক মিজানুরকে বাদি করে আমাদের উপর ৪ লাখ টাকার মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-সিআর-৪২/১৭। এই মামলাটি মিথ্যা হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত পরবর্তীতে মামলাটি ২০২২ সালে খারিজ করে দেন। এই মামলা চলাকালে কাউন্সিলর রুহুল আমিনের ইন্ধনে গত ৯ই ডিসেম্বর ১৯ইং তারিখে ১৮০/১৯ নং পিটিশন মামলায় আমাকে ৫ নং আসামী করে হাজতে পাঠায়। পরে পিবিআই চুড়ান্ত তদন্তে মামলার সাথে আমার কোন রকম সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলা থেকে আমি অব্যাহতি দেয়। পরে চলতি বছরের ১০ই ফেব্রুয়ারী ২৩ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে আমার স্বাক্ষরকৃত স্টাম্প উদ্ধারের জন্য রুহুল আমিন কাউন্সিলর সহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে ২১শে মার্চ ২৩ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং-৩৫/২৩। বর্তমানে মামলাটি চলমান আছে। আমার মামলার দুইদিন পর রুহুল আমিন কাউন্সিলর মামলা থেকে বাঁচতে ও টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে একটি মিথ্যা জমির দলিল বানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় আবারও আমাকে বগুলাগাড়ী ধওলার বাজার হতে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় আমার বাবা আমাকে দেখতে আসলে হয়রানিমূলক কাউন্সিলর রুহুল আমিনের দায়ের করা একটি মিথ্যা প্রতারণা মামলায় বাবাকে সহ গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে। যার মামলা নং-৫৯/২৩ইং।

এ মামলায় ২ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে ২রা আগষ্ট ২৩ইং তারিখে বগুলাগাড়ীর মরহুম রশিদুল ইসলাম চৌধুরীর মাঠে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ উভয়পক্ষকে নিয়ে শালিসি বৈঠক বসায়। এতে রুহুম আমিন কাউন্সিলর উপস্থিত জনসম্মুখে তার ভুল স্বীকার করে এবং মিথ্যা মামলা তুলে নেয়ায় অঙ্গিকার করেন।

কিন্তু রুহুল আমিন কাউন্সিলর স্থানীয় বিচারে মামলাবাজ প্রমানিত হওয়ায় মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে প্রশাসনকে মেনেজ করে তার অভিযোগ মুলে১৪ই আগষ্ট ২৩ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৩টায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার ঘরে থাকা ল্যাপটপ ও গচ্ছিত রাস্তার কাজ বাবদ ২০ হাজার টাকা জব্দ জব্দ করে পুলিশ। কি কারনে বা কোন মামলায় আমাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে দায়িত্বীরত পুলিশ আমার সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে আসলে জানতে পারি কাউন্সিলরের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসামী নাহিদ হাসান মিঠু এর তথ্যমতে রুহুল আমিন কাউন্সিলরকে হত্যার হুকুম দাতা হিসেবে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরের দিন কাউন্সিলর রুহুল আমিন হত্যার হুকুম দাতা হিসাবে আমার ফাঁসি চেয়ে তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে থানা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। যাহা একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়। এসব মিঠুর দেয়া তথ্য ভুল প্রমাণিত হওয়ায় এস আই উজ্জ্বল শাহ্ সোর্স আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে আমাকে ছেড়ে দিবে মর্মে আমার পরিবারের লোকদের কাছে ৮০ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেয়ার পরেও ছেড়ে না দিয়ে একটি পেনডিং চুরি মামলায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। যার মামলা নং-জিআর-১৬৩/২৩। এই মামলার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। কিন্তু আমাকে হাজতে পাঠানোর সময় আমার ল্যাপটপ ও টাকার জব্দ তালিকা দেখায় নি থানা পুলিশ। আমি হাজতে থাকা অবস্থায় ২৬শে আগষ্ট ২৩ইং তারিখে প্রতিবেশী জমির উদ্দিন (ভাষা) সহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আবারও পূর্বের মামলা ৫৯/২৩ এর মীমাংসা বাবদ রাজারহাট মাঠে ৪০ হাজার টাকা নেয় কাউন্সিলর রুহুল আমিন ও তার সহযোগীরা। এভাবে রুহুল আমিন কাউন্সিলর দীর্ঘদিন হতে আক্রশবসত বিভিন্ন ভাবে একেরপর এক মিথ্যা

মামলা দিয়ে হেনেস্তা করছে। বর্তমানে আমি বাড়ি ছাড়া। কাউন্সিলরের দেয়া একাধিক মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এমতাবস্থায় কাউন্সিলরের দেয়া হুমকিতে পরিবার নিয়ে জীবন নাশের ভয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি । আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি। তাই আইনের প্রিয় সহনশীলতা সম্মান রেখে আহবান জানাচ্ছি ন্যায় বিচারের। আমার মত ভুক্তভোগীর দাবী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক। তা না হলে কাউন্সিলরের করা একাধিক মিথ্যা মামলায় আমি সহ আমার নিঃস্ব হয়ে যাবো। আমি সহ আমার পরিবার কাউন্সিলর রুহুল আমিন সহ তার সহযোগিদের হাত থেকে বাঁচতে চাই।

অন্যদিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলর রুহুল আমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সমাজে হেয়প্রতিপন করার লক্ষে একটি মহল আমার সম্মান নষ্ট করছে।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It