1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

সম্পাদকীয় – ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৯ Times

ইলিশ মাছ সবসমই মানুষের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে। কমবেশি সবাই এই মাছ খেতে ভালবাসে। কিন্তু ইলিশ মাছ দামের কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ভরা মৌসুমেও অস্বাভাবিক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।

সরবরাহ ভালো থাকার পরও দামের কারণে ইলিশের স্বাদ নিতে পারছেন না মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। মাছের সরবরাহ যথেষ্ট হলেও ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছেন না। বাজার সিন্ডিকেটের কারণেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। দাম বেশি থাকায় বেশিরভাগ মানুষের কাছেই “মাছের রাজা” যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়, এর জন্য কোনো খরচ লাগে না। শুধু মাছ আহরণ করতে খরচ হয়। চাষের মাছ উৎপাদন করতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু ভালো মানের একটি রুই বা কাতল মাছ যে দামে বিক্রি হয়, তার থেকে পাঁচগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিনা খরচায় উৎপাদিত ইলিশ।

বছর খানেক আগেও এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দালাল চক্র এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিরিক্ত লাভ করতে ইলিশের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১,৫০০ থেকে ১,৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর বা নদী থেকে ধরা প্রায় একই ওজনের মাছ কক্সবাজার ও চাঁদপুরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১,১০০ থেকে ১,২০০ টাকায়। তবে পদ্মা নদীতে ধরা ইলিশ চাঁদপুরে বিক্রি হচ্ছে ১,৬০০ টাকা কেজিতে।

প্রতিবছর ইলিশ কী পরিমাণ ডিম পাড়ল, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিবছর তার ওপর একটা সমীক্ষা করে। তাতে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ইলিশের ডিম পাড়া ১১ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ; অর্থাৎ ডিম পাড়ার হার বৃদ্ধির চেয়ে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ অর্ধেক। সাধারণত ডিম যে পরিমাণে বাড়ে, ইলিশের উৎপাদনও তার কাছাকাছি পরিমাণে বাড়ে।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা ঘটেনি।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মতে, বর্তমানে ইলিশের সর্বোচ্চ টেকসই ফলন সাত লাখ দুই হাজার টন। সরকারী তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৯-২০ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল দুই লাখ ১৯,০০০ টন।

যেটি ২০২১-২২ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৬৭,০০০ টনে। ইলিশের উৎপাদন পাড়লেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছেনা কেন এই বিষয়টি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে খতিয়ে দেখতে হবে। বাজার মনিটরিং বব্যস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে।

কারা এসব করছে এর পেছনে কোন সিন্ডিকেট কাজ  করছে সে ব্যপারে  প্রশাসনকে আরও তৎপরতা চালাতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It