পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও সম্মানহানী সহ প্রাণনাশের হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জলঢাকা পৌরসভার টানা দুই’বার এর নির্বাচিত কাউন্সিলর রুহুল আমিন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌরসভার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন। তিনি বলেন, আমি সুনামের সাথে জনগনের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি।
এদিকে আমি আমার প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ আল-মামুন (৩৪) এর নিকট হইতে জমির খতিয়ান নং- এস, এ-৬৮, ডিপিং-৩৬৫ খারিজ খতিয়ানঃ ১৬৪, দাগ-৩৯৯, ১৩ শতকের মধ্যে হইতে ০.৫ শতাংশ জমি বিক্রয়ের লক্ষ্যে আবুল কালাম আজাদ সরকার কর্তৃক ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যে গত ২০/০৮/২০১৬ তারিখে সম্পাদন করা হয়।
সম্পাদনের ০৭ দিন পর অফিসে এসে রেজিস্ট্রি অফিসে সামনে সাব কবলা করে দিবে বলে অঙ্গীকার করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব রেজিস্ট্রী অফিসে উপস্থিত হলেও অসুস্থাতার ভান করে অফিস থেকে কেটে পরে। পরবর্তীতে ২৭/০৯/২০১৬ইং তারিখে মোঃ হালিমুর রহমান, পিতা মৃত-অফিসার রহমান কে দলিল সাব রেজিস্ট্রি করে দেয়।
যা আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তার এই প্রতারনা বুঝতে পেরে আমি তৎকালীন পৌরমেয়র ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী একটি মৌখিক অভিযোগ করি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উভয়কে বিচার সালিসের মাধ্যমে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে আদুল্লাহ আল মামুন আমাকে জমি দিতে না পারিলে উক্ত সমুদয় টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরত প্রদান করিবে মর্মে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
যথাসময়ে টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করায় বাধ্য হইয়া আমি জলঢাকা থানায় একটি এজাহার দায়ের করি যাহার মামলা নং-জি, আর-৪৯/২৩ (জল) যা এখন বিচারাধীন রয়েছে। মামলা করার কারণে প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার ও আমার পরিবারের উপরে আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে আমার মানহানি করার চেষ্টা করাসহ আমি সহ আমার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।
এই আব্দুল্লা বগুলাগাড়ীর ভ্যানচালক আবু তালেব হত্যা মামলার আসামী সহ, চুরি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামী। গত মাসের ০৪/০৮/২০১৩ইং রাতে আমি একটি শালিস শেষে বাড়ী ফেরার সময় ধওলার বাজার নামক স্থানে (ক্যানেলের ব্রীজের উপরে) আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আমাকে রক্ষা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হন।
সম্প্রতি আব্দুল্লাহ জেল হাজত থেকে বের হয়ে আমিসহ আমার শুভাকাঙ্খিদের সম্মানহানী করার উদ্দেশ্যে গত ০৪/০৯/২০১৩ইং কিছু সংখ্যাক সংবাদ কর্মীদের মিথ্যা ও তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। যার শিরোনাম ছিল “জলঢাকায় কাউন্সিলর রহুল আমিন কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী চাঁদাবাজি ও জীবনের নিরাপত্তা” চেয়ে সংবাদ সম্মেলন।” প্রতিপক্ষের বক্তব্য না নিয়ে একতরফা ভাবে সংবাদ সম্মেলনে আমার মানহানি করায় এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
আজ আমি পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবারবর্গ আজ জীবন নিয়ে শংকিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র-২ আব্দুল মান্নান, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মন্টু, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজলুল হক, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক, মশিউর রহমান প্রমূখ।