মা-বাবার চোখের সামনেই সন্তানের জীবন প্রদীপ আজ নিভতে বসেছে। বাবা মায়ের মনে সবসময় শঙ্কা প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে ফেলার। টাকার অভাবে নিজের চোখের সামনেই সন্তানকে হারিয়ে ফেলা কোন মা বাবার পক্ষেই এটা সহ্য করা সম্ভব নয়।
মেয়েকে বাঁচাতে বাবা মো. নুর বক্ত কেঁদে কেঁদে বলেন,আমি খুবেই গরীব মানুষ। আমার ৫ সন্তানের মধ্যে ছুমাইয়া সবার ছোট। আমরা গরীব কিন্তু আল্লাহ তাআ’লা আমার মেয়ের রোগ দিয়েছে অনেক বড়। আমার ছুমাইয়াকে বাঁচান।
নিজের চোখের সামনে মেয়ের এমন অবস্থা সহ্য করার মতো নয়। সাথে সন্তানের পাশে বসে অঝোরো কাঁদছেন মা জাহেনারা বেগম। তাদের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর দেশীবাই গ্রামে। ছুমাইয়া উত্তর দেশীবাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।
তার বয়স ১২ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ মাস বয়স থেকে হার্টের সমস্যা ধরা পরে। এরপর থেকে মাঝে মাঝে অসুস্থতা দেখা দিলে চিকিৎসা নিলে কিছু দিন সুস্থ থাকে।এভাবেই দীর্ঘ ১২ বছর পার হয়ে যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়ায় অর্থের অভাবে তার স্থায়ী কোন চিকিৎসা করা হয়নি।
সম্প্রতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর চিকিৎসক জানান,ছুমাইয়ার হার্টের মধ্যে ছিদ্র হয়েছে। বর্তমানে সে অসুস্থতায় ভুগছে। তার বাবা একজন ভ্যান চালক ও দিন মজুরের কাজ করেন কোনমতে পরিবারের খাবার যোগান। টাকার অভাবে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খরচ বহন করার কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে তার।
বর্তমানে রংপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: মোঃ জয়নাল আবেদীন জুয়েল এর চিকিৎসাধীন রয়েছে ছুমাইয়া। অন্যদিকে মেয়েটির চিকিৎসক বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করতে পারলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। তাকে বাঁচাতে হলে সম্পূর্ণচিকিৎসার খরচ বাবদ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রয়োজন।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে তার পরিবারের চোখের পানিফেলা ছাড়া আর কোন পথ নেই। সদা হাসিখুশি থাকা মেয়েটি এখন প্রায় মরণাপন্ন অবস্থা। পূর্বের মতো খেলাধুলা করতে পারে না। অসুস্থতায় তার বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তার বাবা-মা সরকার ও সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চান।ছুমাইয়ার বাবা আরও জানান,মেয়ের চিকিৎসার জন্য এত টাকা খরচ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার এই দুই চোখে কান্না ছাড়া আর কোন সামর্থ্য নেই। আমার মেয়েটিকে বাঁচাতে সরকার ও সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের আর্থিক সহযোগিতা চাচ্ছি।
তিনি তার এলাকার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিভিন্ন বিত্তশালীদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা চাইছেন। ছুমাইয়ার চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগাড় করতে মানুষের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরছেন তার স্বজনরা। মৃত্যুরপথের পথযাত্রী সন্তানকে এখন টাকার অভাবে হারাতে হবে এমন ভাবনাটা যে কোনো বাবা মায়ের জন্যই অত্যন্ত কষ্টদায়ক ব্যাপার।
ছুমাইয়াকে বাঁচাতে যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজন সহযোগীতা পাঠাতে চান তাহলে ছুমাইয়ার বাবার সাথে (মোবাইল নং-বিকাশ নগদ-০১৭৩৮২২০২২৭) এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।