1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

সম্পাদকীয় – গাছ লাগান প্রকৃতি বাঁচান

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪ Times

ষড় ঋতুর বাংলাদেশে এখন প্রকৃতি তার রূপ পাল্টিয়ে ফেলেছে। বৃক্ষ নিধন ও পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাবার ফলে প্রকৃতি এখন বিরূপ রূপ ধারণ করেছে। বর্ষার সময় অতি বৃষ্টি, গ্রীষ্মের সময় কাঠফাটা রোদ আর শীতের সময় হাড়কাপানো শীতে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের খেসারত দিতে হচ্ছে মানুষকে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম জেলায় এবার যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা গত ২৮ বছরেও হয়নি। কিন্তু সেই বৃষ্টির পানি যে ভাবে পাহাড়ি ঢল তৈরি করল, তাতে সবাইকে শঙ্কিত হতে হয়। বান্দরবন শহর যে ভাবে এবার ডুবেছে;  তা ইতোমধ্যে অবিশ্বাস্যই ঠেকেছে সবার কাছে।

এক দেড় দশক ধরে যে ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ-প্রকৃতির ওপর অনাচার চলছে তা কোনো ভাবেই অস্বীকার করার সুযোগ নেই। পাহাড় কেটে যে সব সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, তার সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করলেও, প্রকৃতির বিরূপ রূপ সবাইকে বিপদগ্রস্ত করেছে। গভীর বন জঙ্গল সাফ করে গাছ কাটা, পাহাড়ি ছড়া গুলো পাথর শূন্য করার যে ধুম পড়েছে, তা সবার জানা।

গত বছর সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার কারণ প্রসঙ্গেও একই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ভারতের মেঘালয়ে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে বাণিজ্যিক বন কিংবা চাষাবাদ করার জন্য বন পরিষ্কার করার প্রভাব পড়েছে আমাদের সিলেট অঞ্চলে। পাহাড়ি ভূমি-ক্ষয় হওয়া মাটি এসে জমা হচ্ছে সিলেট বিভাগের নদণ্ডনদী ও হাওড় এলাকায়। এতে নদণ্ডনদীগুলোর নাব্যতা আশংকাজনক ভাকে কমে গেছে।

এবারের চট্টগ্রাম ও বান্দরবনের বন্যায় কারণ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই চট্টগ্রাম কক্সবাজার নতুন রেল লাইন প্রকল্পের কথা বলেছেন। রেল লাইনের উঁচু বাধের কারণে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং সেই পানিতে আশপাশের এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে।  অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে সারা দেশেই বৃক্ষ নিধন চলছে। নতুন গাছ লাগানো না হলেও পুরনো গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার ১৫ বছরে বড় বড় ইমারত তৈরি করে সৌন্দর্য বর্ধন করা হলেও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে। ফলে রোদের তাপে শিক্ষার্থীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসে লাগিয়েছে নানা গাছ গাছালি। কিন্তু তা যথাযথ পরিচর্যার অভাবে বড় হতে পারছে না।

তাই সুন্দর  ও শীতল ক্যাম্পাসের জন্য গাছ গুলোর পরিচর্যার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সাথে সারা দেশে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে, ব্যাপক হারে গাছ লাগাতে হবে।

নইলে প্রকৃতি অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি অতি-উষ্ণতা বা শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলবে। উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজন, তাই বলে প্রকৃতি ধ্বংস করে নয়। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে। তাই সবার সচেতনতা জরুরি। প্রকৃতির বাঁচলে জীবন সুন্দর হবে। আর প্রকৃতি বিরূপ হলে জীবন বিপন্ন হবে। তাই গাছ কাটা আর নয়, প্রয়োজনে গাছ লাগান, প্রকৃতি বাঁচান।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It