1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

বাজার অস্বস্তিতে ভোগান্তির অন্ত নেই

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৬ Times

হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। সবজির বাজার দীর্ঘদিন ধরে চড়া, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কালো গোল বেগুন, বরবটি, শিম, উচ্ছে ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার বেশি দরে।

এর মধ্যে শিমের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০, গোল বেগুন ১৪০ থেকে ১৫০, বরবটি ও উচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ এবং গাজর ও কালো লম্বা বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জানা যায়, দু’সপ্তাহ আগেও এসব সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে কেনা গেছে। এ ছাড়া চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও ঝিঙের কেজি ৮০ থেকে ৮৫ এবং পটোল ৮০ থেকে ৯০, ঢ্যাঁড়সের কেজি ৭০-৯০ টাকা আর মুলার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

বাজারে শুধু কাঁচকলার হালি ৪০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা। ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়েই যাচ্ছেন এবং অভিযোগ করে ক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে ক্ষেতেই কিছু সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে মাঠ পর্যায় থেকে শহরে সবজির সরবরাহে টান পড়েছে। এর ফলে দাম বেড়েছে। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অল্প কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। এক কেজির রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি।

দুই থেকে আড়াই কেজির রুই-কাতলার দাম কেজিতে ৩৭৫ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। কিছু স্থানে ৭০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা।

স্থানভেদে কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে উত্তাপ কমছে না বাজারে, এমন উচ্চমূল্য বিপাকে ফেলছে সাধারণ ক্রেতাদের। বর্তমানে বাজারের যে অবস্থা, গরু বা মুরগি কেনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্ত বা নিম্মবিত্তদের। দ্রব্যমূল্যের এ অযৌক্তিক বৃদ্ধির পেছনে কাজ করে বাজার সিন্ডিকেট। নানা অজুহাত তুলে বাড়ানো হয় পণ্যের দাম। কখনো কখনো তারা পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় বেশি দামে পণ্য ক্রয় করা ছাড়া ভোক্তাদের কোনো উপায় থাকে না।

তবে এসকল সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের শাস্তি হওয়া উচিত। অসাধু ব্যবসায়ীদের এ প্রবণতা প্রতিরোধ করার দায়িত্ব সরকারের। তাই যথা দ্রুত অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে, নয়তো এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It