নীলফামারীর জলঢাকায় মীরগঞ্জহাট বাজারে অবস্থিত সার্বজনীন কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী হরি দূর্গা মন্দির-মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলার শতাধিক পূজা মণ্ডপের মধ্যে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে মানুষের নজর কেড়েছে মীরগঞ্জহাট সার্বজনীন কেন্দ্রীয় (পুরাতন) শ্রী শ্রী হরি দূর্গা মন্দিরের মণ্ডপ।
বৃহৎ পরিসরে বেশ কিছু প্রতিমা নিয়ে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব প্রতিমার মাধ্যমে ডিসপ্লে প্রদর্শনীর মাধ্যমে রাম-সীতা-লীলার কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। এটি উপজেলার কয়েকটি পূজার মধ্যে অন্যতম একটি সেরা পূজা। সপ্তমী-অষ্টমী-নবমীর দিন ও রাতে এ মন্দিরে দর্শকের ঢল নামে। দূরদূরান্ত থেকে সর্বস্তরের জনগোষ্ঠী এ মন্দিরে ভিড় করেন। এবং ডিসপ্লে প্রদর্শনীতে রাম-সীতা-লীলার কাহিনি মনোযোগসহ করে দেখে পসাত খেয়ে আশীর্বাদ নিয়ে যাচ্ছেন আগত ভক্তরা।
এছাড়াও পূজার রাতে আরতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আরতি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেয়া হয়ে থাকে। পূজা মণ্ডপ দেখতে আসা বিধান চন্দ্র রায় বলেন,মীরগঞ্জহাট সার্বজনীন কেন্দ্রীয় (পুরাতন) শ্রী শ্রী হরি দূর্গা মন্দির পূজা মণ্ডপে একটু ব্যতিক্রম রাম-সীতা-লীলার কাহিনী দেখার আয়োজন করেছে। এই পূজা দেখে স্বার্থক হয়েছি। এমন আয়োজন আমার মন কেড়েছে। এরকম দেখতে আসা ভক্তরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।মীরগঞ্জ ইউনিয়ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও মীরগঞ্জহাট সার্বজনীন কেন্দ্রীয় (পুরাতন) শ্রী শ্রী হরি দূর্গা মন্দিরের সভাপতি হিমাংশু কুমার কিশোরী বলেন,মীরগঞ্জ ইউনিয়ন তথা উপজেলার দূর্গা পূজাগুলোর মধ্যে আমাদের পূজা মণ্ডপে এবারে একটু ব্যতিক্রম আয়োজন করা হয়েছে। এ পূজাকে কেন্দ্র করে আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করায় দর্শনার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পূজা দেখতে আসেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকেও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ে ভক্তরা গভীর রাত পর্যন্ত শহরে ঘুরে ঘুরে পূজা দেখেছেন।
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা শেষ করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মীরগঞ্জহাট সার্বজনীন কেন্দ্রীয় (পুরাতন) শ্রী শ্রী হরি দূর্গা মন্দির কমিটি সকল সদস্যবৃন্দ। তারা বলেন,গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপ হওয়ায় সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। মীরগঞ্জহাট সার্বজনীন কেন্দ্রীয় (পুরাতন) শ্রী শ্রী হরি দূর্গা মন্দির কমিটির সহ-সভপতি রমানাথ রায়,সাধারন সম্পাদক ব্রজ গোপাল রায়,যূগ্ন সাধারণ সম্পাদক রতন বসাক,সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ রায়ের পাশাপাশি আশপাশের অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও দায়িত্ব পালন করেছেন।