চট্টগ্রামবাসী তো বটেই, পুরো দেশের জন্যই যোগাযোগের নতুন যুগের সূচনা ঘটতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলের মাধ্যমে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বহুল প্রতীক্ষিত এই মেগাস্ট্রাকচারটি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে, আমূল বদলে যাবে বন্দরনগরীর যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। সেই সাথে আধুনিক চট্টগ্রামের নতুন যাত্রা শুরু হবে এই টানেলের পথ ধরে।
চট্টগ্রামেই হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। প্রথম কোনো স্থাপনা, যা পুরো এই অঞ্চলেই একেবারে নতুন। শত বাধা আর অগণিত অনিশ্চয়তা জয় করে এখন আস্ত একটি সুড়ঙ্গ পথের মালিক হয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় অর্ধযুগ ধরে নির্মাণযজ্ঞ চলার পর, স্বপ্নের এই স্থাপনাটি উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামকে নিবিড়ভাবে যুক্ত করেছে।
চীনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত উপমহাদেশের প্রথম এই টানেলটি শনিবার জনগণের হাতে তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। সেই উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পুর চট্টগ্রাম জুড়ে সাজ সাজ রব।
চট্টগ্রামের নেতা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পতেঙ্গা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে সরকার প্রধান গাড়িবহর নিয়ে প্রবেশ করবেন টানেলে। তিন দশমিক তিন দুই কিলোমিটারের সুড়ঙ্গপথ গাড়িতে পাড়ি দিয়ে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়েই পৌঁছাবেন অপর প্রান্তে আনোয়ারার জনসভায়।
আধুনিক এই যোগাযোগ অবকাঠামোটিকে এরই মধ্যে নিরাপত্তা দিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। উদ্বোধনী ঘিরে সেজে উঠেছে কর্ণফুলীর এপার-ওপাড়। নদীর তলদেশে চারলেন পার হয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারায় যাওয়া সম্ভব হবে চোখের পলকে।
যুগান্তকারী এই প্রকল্পটির মাধ্যমে চীনের সাংহাই এর আদলে ’ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে যেমন গড়ে উঠবে চট্টগ্রাম, তেমনি পরিবেশ রক্ষা করে গড়ে তোলা এই স্থাপনাটি আঞ্চলিক যোগাযোগেও নতুন স্বাক্ষর রাখতে যাচ্ছে।
টানেল নির্মাণের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শেষে, তা জনগণের কাছে হস্তান্তরের ঐতিহাসিক আনুষ্ঠানিকতা স্মরণীয় করে রাখতে আনোয়ারা প্রান্তে বড়সড় জনসভারও প্রস্তুতি নিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সেই সভায় নির্বাচনকেন্দ্রিক বার্তাও দিতে পারেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।