1. maniknews1980@gmail.com : editor :
  2. jalshahina@gmail.com : news.editor : moslahnur rahman chowdhury
  3. admin@bidrohinews24.com : admin :
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

সম্পাদকীয় – আয়োডিনের ঘাটতি, মানুষকে সচেতন করতে হবে

মাহাদী হাসান মানিক
  • Time সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৬ Times

আয়োডিনের অভাব হলে শারীরিক ও মানসিক গঠন যথাযথ হয় না, বুদ্ধির বিকাশ হয় না। শিশুরা হাবাগোবা ও বেঁটে হয়ে যায়। গলগ-সহ নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। কয়েক দশক আগে বাংলাদেশে এসব সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল।

এক গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৯৩ সালে শিশুদের মধ্যে গলগণ্ডের হার ছিল ৪৯.৯ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে এই হার ছিল ৫৫.৬ শতাংশ। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকেই আয়োডিন মেশানো লবণের প্রচলন হয়। ক্রমে এর ব্যবহার বাড়ে। ফলে ২০০৮ সালে দেখা যায়, শিশুদের মধ্যে গলগণ্ডের হার কমে এসেছে ৬.২ শতাংশে এবং নারীদের মধ্যে তা নেমে এসেছে ১১.৭ শতাংশে। এখন গলগ- নেই বললেই চলে।

তবে আয়োডিনের ঘাটতিজনিত শারীরিক ও মানসিক অন্যান্য সমস্যা এখনো বেশ ভালোভাবেই রয়ে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এখনো প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি পাওয়া যায়। এর জন্য দায়ী করা হয় মানুষের সচেতনতার অভাব এবং বাজার থেকে আয়োডিনহীন খোলা লবণ নিয়ে খাদ্যে ব্যবহার করাকে। আয়োডিনের ঘাটতিজনিত সমস্যাকে মানুষ এখনো যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় না।

এর প্রধান কারণ, এই সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় না বা অনুভব করা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী মায়ের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হলে ভ্রƒণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হবে। হাবাগোবা কিংবা দৃষ্টি ও বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে। পরবর্তীকালেও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। শরীরের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিগুলোও ঠিকমতো কাজ করে না। এতেও নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। এ কারণেই লবণে আয়োডিন মেশানোর পদ্ধতি শুরু করা হয়েছিল। কারণ সব মানুষই প্রতিদিন কমবেশি লবণ গ্রহণ করে। তা ছাড়া বাংলাদেশ আয়োডিন মিশ্রিত লবণ বিল ২০২১ প্রণয়ন করেছে, যাতে খাদ্য হিসেবে গৃহীত লবণে পরিমাণমতো আয়োডিন মেশানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তার পরও ২৫ শতাংশ মানুষ আয়োডিনহীন লবণ ব্যবহার করছে এবং নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বাজারে খোলা অবস্থায় খাদ্যে ব্যবহারযোগ্য যে লবণ বিক্রি হয়, তাতেও উপযুক্ত পরিমাণে আয়োডিন মেশানোর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি খোলা লবণ ও আয়োডিনযুক্ত লবণের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে।

তা না হলে নিম্ন আয়ের মানুষ কম টাকায় যে লবণ পাবে, সেটিই ব্যবহার করবে। একই সঙ্গে আয়োডিনযুক্ত লবণ গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা © All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It