বর্ষার দিনে মাটির ভাঁড়ে ধোঁয়া ওঠা চায়ে একটু চুমুক, আহ! নিমেষেই শরীর চনমনে হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মেজাজও হয় ফুরফুরে। অফিসে, পাড়ার মোড়ে আড্ডা দিতে গিয়ে দিনে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বায় হয়েই যায়। কিন্তু এই স্বস্তির চুমুকই হয়ে উঠতে পারে আপনার অসুখের কারণ। জানেন কী? তাহলে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কতটা চা খাওয়া উচিত?
কতটা চা পান করবেন?
এক কাপ চায়ের ক্যাফিনের পরিমাণ পৃথক হতে পারে। চা পাতার ধরণ এবং আপনি যে পরিমাণ পরিমাণ ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত, এক কাপ চায়ের ক্যাফিনের পরিমাণ ২০-৬০ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে। সুতরাং, প্রতিদিন ৩ কাপের বেশি চা না পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শরীরে আয়রন শোষণ ক্ষমতা হ্রাস করে
চায়ের মধ্যে পাওয়া ট্যানিন প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরের আয়রন শুষে নেওয়ার ক্ষমতা কমায়। কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চা আয়রন শোষণের ক্ষমতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। এটি নিরামিষাশীদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, যাদের আয়রনের ঘাটতি বেশি থাকতে পারে।
ওষুধের প্রভাব হ্রাস করতে পারে
সমীক্ষায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চা খাওয়া কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। চা কেমোথেরাপির ওষুধ, ক্লোজাপাইন এবং গর্ভনিরোধক ওষুধের উপর প্রভাব হ্রাস করতে পারে।